Bike Review Of Yamaha YZF R15 V2.0 With 23,000 K.M. Riding Skil
Bike Review Of Yamaha YZF R15 V2.0 2016 With 23,000 K.M. Riding Skill...
আমি মোহাম্মদ আরিফুল হক নয়ন
আমার বাসা ফেনী তে
আমি এখন পর্যন্ত প্রায় ২৩টি বাইক ব্যবহার করেছি,আমার প্রথম বাইক #Honda XL185 সেই ১৯৯৬ সালে। এর পর একে একে
#Bajaj pulsar 150.NS_200. #RS200.#Avenger Stveet 200.platina,Diccover, CT 100.#Yamaha Szrr V2.0/FZ S./YZF R15 V2.0/#M_Slaz.এছাড়া ব্যবহার ককরেছি,#Hero,#Tvs #Suzuki,,#Honda,#KTM Rc390 ছোট বেলা থেকে বাইক খুব পছন্দ করতাম।কারন এইটা আমার আব্বুর কাছথেকে পাওয়া,উনি নিজেও এক জন বাইকার,এবং আমার চাচ্চুও সেই সুত্রে আমি...।
চাচ্চুর বাইক দিয়েই হাতেখড়ি আমা #Shahid_Manik (চাচ্চুর)এর কাছে বাইক চালানো শিখেছি, চাচ্চুর কাছে আমি চির কৃতজ্ঞ।অনেক গুলি বাইক চালানোর পরও Yamaha YZF R15V 2.0 টাকে খুবই ভালো লাগতো তাই
#২০১৬ সালের সেপ্টেম্বর মাসের ৬ তারিখ হঠাৎ একটি সুজুক এলো। সাদা-লাল রং এর একটি #R15 আমার খুব কাছের এক ছোট ভাই কিনল,কিন্তু সে এই বাইকটি চালাতে পারে নি ওর ভিসা এসে যাওয়াতে। ঐ সময় টাকার প্রয়োজন ছিলো তাই মোটামুটি অনেক কমদামেই আমার প্রিয় বাইকটি আমি পাই তাও আবার নতুন,সাথে সাথে বন্ধু শাওন কে ও ছোট ভাই সুজন কে ফোন দিলাম ওরা দুই জনে দুই লাক টাকা দিল,বাকী টাকা আমি দিয়ে বাইক টা আমার করে নিলাম।সব মিলিয়ে ২ ঘন্টা সময় পেয়েছিলাম। রেজিষ্ট্রেশন ফি আমাকে দিতে হয়েছে।
#ক্রয়ের কারন- আমি অনেক বাইক টেস্ট রাইড দিয়েছি, কিন্তু আমার বন্ধু শাওনের ইয়ামাহা এফ জি এস ছিলো, যা রাইড করার পর সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম, যখনই বাইক নিবো তা হবে ইয়ামাহা। কারন এই বাইক আরামদায়ক, ইঞ্জিনের শব্দ খুবই সুন্দর এবং নিয়ন্ত্রন চমৎকার। আমার কাজে বিভিন্ন জায়গায় যাওয়ার প্রয়োজন পড়ে, এবং বাইক রাইড পছন্দ বিধায় বাইক ক্রয় করি। এর যদি বাইকটা হয় একটু স্টাইলিস তাহলেতো কথাই নেই।
আমার বাইক ব্যবহার সময়কালীন বিবরন তুলে ধরছি:-
#মোট_রাইড- এখন পর্যন্ত ২৩,০০০ কিলোমিটার রাইড করেছি।আমি নিজেই রাইড করেছি, প্রয়োজন ছাড়া কাউকে দেই নাই।
#মবিল- প্রথমে আমি ইয়মাহা লুব ২০ ডব্লিউ ৫০ এবং এখন ব্যবহার করি মটুল ৩০০ভি।
আমার কাছে মটুলই ভালো লাগে।
#এয়ার ফিল্টার- ৫,০০০ কি.মি. পর পর এয়ার ফিল্টার পরিবর্তন করিয়েছি।
#পরিবর্তন - এক্সেলেটর কেবল, ক্লাচ কেবল ও ইরিডিয়াম স্পার্ক প্লাগ, লাগিয়েছি।
এই ছাড়া অন্য কিছুই বদলাতে হয়নি।
আর পি এম- বাইকের আর পি এম সবসময় ১.৫ সেট করে রাইড করি, স্টার্ট করতে কিংবা চালু অবস্থায় স্টার্ট বন্ধ হওয়ার মত সমস্যায় পরতে হয়নি।
#তেল_খরচ- আলহামদুলিল্লাহ্ বাইক ক্রয়ের সময় সিটিতে ৪০ এবং হাইওয়েতে ৪৭ কি.মি.মাইলেজ পেয়েছি। বর্তমানে সিটিতে ৩৬ -৩৮ এবং হাইওয়ে তে বাহিরে ৪২ -৪৪ কি.মি. প্রতি লিটারে মাইলেজ পাচ্ছি। ক্রয় করার পর হতে এখন পর্যন্ত ২টি পাম্প হতে পেট্রোল নিচ্ছি(ট্যুরে থাকা অবস্থায় কখনও কখনও পেট্রোল না পেয়ে অকটেন নিয়েছি)।
#সার্ভসিং- ৩ বার ফ্রী সার্ভসিং করা হয়েছিলো,১ জন বাইক মেকানিকের হাতে ক্রয় পরবর্তী সার্ভসিং সহ টুকটাক কাজ করিয়েছি। প্রতি ৪০০০ কি.মি. পর পর সার্ভসিং করাচ্ছি।
#অতিরিক্ত_পার্টস- বাইকে অতিরিক্ত ২ টি এল,ই,ডি লাইট অতিরিক্ত আলোর জন্য ব্যবহার করছি ও একটি সিকিউরিটি সিস্টেম ইন্সটল করা আছে।
#সর্বোচ্চ_গতি- আমার সর্বোচ্চ বাইকের গতি ছিলো ১৪৭ ঢাকা চট্রগ্রাম মহাসড়কে।
#ভ্রমন- আলহামদুলিল্লাহ্, এখন পর্যন্ত আমার পাগলা ঘোড়ায় চড়ে আমি ঘুরেছি।
খাগড়াছড়ি,রাংগামাটি,বান্দরবন, কক্সবাজার, চট্রগাম,ফেনী,নোয়াখালী,লক্ষীপুর,কুমিল্লা,ঢাকা,চাঁদপুরচাটখিল, আর এই মুহুর্তে মনে পড়ছে না।বেশীর ভাগই পাহাড়ি রাস্তায়।
প্রতিটি বাইকের ভালো - খারাপ ২টি দিকই রয়েছে। ঠিক তেমনি আমার R15 বাইক রাইড অভিজ্ঞতা থেকে কয়েকটি দিক তুলে ধরছি (সবার কাছে একই রকম নাও হতে পারে)।
#ভাল দিক:-
১। খুবই আরামদায়ক। লম্বা ভ্রমেনর জন্য চমৎকার।
২। অসাধারন নিয়ন্ত্রন, হাইওয়েতে ট্যুরের জন্য সবচেয়ে নিরাপদ। স্পিড ১২০/৩০ তোলার পরও কোন কম্পন সৃষ্টি করে না।
৩। বাহ্যিক চমৎকার সৌন্দর্য। সহজে এই বাইকে সবার চোখ পড়ে।
৪| আমি একদিনে ৪২৩ কিঃমিঃ পথ চালিয়েছি,তাতেও ইঞ্জিনের সাউন্ড এক্টুও বদলায়নি।
#খারাপ দিক:-
১| বাইক ঘুরাইতে অনেক জায়গা লাগে।
২। গ্রাউন্ড ক্লিয়ারেন্স কম হওয়ায়, উচুঁ স্পিড ব্রেকারে লেগে যায়।
৩| একটানা অনেক দিন লং ড্রাইভ করলে কোমর ব্যথা হয়।
৪| গ্রামের রাস্তায় রাতের বেলায় লাইটিং এ সমস্যা হয়।পিলিওন নিয়ে লং ট্যুর না দেওয়াই ভালো।
ধন্যবাদ....... .
No comments