Header Ads

Header ADS

Bhoot.com Stroy With RJ Russel





ঘটনার নামঃ মধ্যরাতের গরুর গাড়ি।

অনেক আগের ঘটনা তখনকার মানুষ জন চাষাবাদের উপর নির্ভরশীল বেশিই ছিলো। তো সেই সময়কার একটি গ্রামের ঘটনা। ঘটনাটি যার তার ছদ্মনাম রহিম মিয়া।
রহিম মিয়াদের পাট,ধান এর ব্যাবসা ছিল। সেগুলা বিক্রি কর‍তে শহরে যেতে হতো। রহিম মিয়ার বাসা থেকে শহরে যেতে গরুর গাড়িতে আনুমানিক ৩ ঘন্টা লাগতো। বলে রাখা ভালো তখনকার রাস্তা গুলো ছিলো নদীর পাড় ঘেষে। সে পথে সবাই যাতায়াত করতো। যাতায়াতের উন্নত বাহন ছিলো গরুর গাড়ি। তো ঘটনাটি যে দিন ঘটে সেদিন রহিম মিয়া,রহিম মিয়ার ভাই,এবং কিছু সঙ্গী নিয়ে শহরে/বাজারের দিকে রওনা হয় গরুর গাড়িতে পাট বোঝাই করে বিক্রির উদ্দেশ্য। গরুর গাড়ি নিয়ে বিকালে রওনা দেয় এবং পৌঁছাতে পৌঁছাতে সন্ধ্যা হয়ে যায়। বাজারে পৌঁছে পাট নামানো এবং বিক্রির কাজ শুরু হয়। একে একে তার সাথে থাকা সকলের পাট বিক্রি হয়ে যায় রাত ১০ টার ভিতর। তখন রাত ১০ টা মানে অর্ধেক রাত। কিন্তু রহিম মিয়ার পাঠ বিক্রি দালালের সাথে চুক্তিতে দেরি হতে থাকে। রাত বেশি হওয়ার কারণে রহিম মিয়ার ভাই সহ বাকিরা বাড়ির উদ্দেশ্য রওনা দিয়ে দেয়। রহিম মিয়ার সব কিছু ঠিকঠাক করতে করতে আনুমানিক ১২ টা বেজে যায়। ১২ টা মানে অনেক রাত। রহিম মিয়ার বাকি সঙ্গীরা যেহেতু আগেই চলে যায় কাউকে আর না পেয়ে কোনো উপায় না থাকায় রহিম মিয়া তার গরুর গাড়ি নিয়ে বাড়ির উদ্দেশ্য একাই রওনা দিয়ে দিলো। মেঠোপথ পেরিয়ে কয়েকটা জঙ্গলের পাশ ঘেঁষে আবার খোলা মাঠ এর পর আসে সেই নদীর গা ঘেষা পথ। রহিম মিয়া যখন নদীর পথে চলে আসে তখন রাত প্রায় আনুমানিক ২ টা। হঠাৎ রহিম মিয়ার চোখে পরে দূরে একটা গরুর গাড়ি। এতো রাতে আর একটা গাড়ি দেখে রহিম মিয়া ভাবছে যাক ভালোই হলো একটা সঙ্গী পাওয়া গেলো তার সাথে বাকি পথ পার করে দেওয়া যাবে গল্প করতে করতে। যেই ভাবা সেই কাজ রহিম মিয়া আস্তে আস্তে সামনে দেখা সেই গরুর গাড়ির পাশে চলে আসে। এসে দেখে গরুর গাড়িতে আরও ৫ জন বসে আছে। সে গাড়িতে থাকা গরুর রঙ ছিলো ধবধবে সাদা। কিন্তু গরুর গাড়ির চালকের মুখ দেখা যাচ্ছেনা তবে বোঝা যাচ্ছে বয়ষ্ক একজন চালক গাড়িটি চালাচ্ছে । রহিম মিয়া এর আগে এই পথ ধরে অনেক বার গিয়েছে এসেছে রাত বেরাত কখনো এমন চালক দেখেনি অপরিচিত লাগছে তার কাছে। যাইহোক গরুর গাড়ির একটি কমোন দিক আছে যদি এক সাথে অনেক গুলা গরুর গাড়ি চলে তাহলে সামনের গরু যেদিকে যায় পিছনের পাল গুলাও সেদিকে পথ অনুসরণ করে চলে। তো রহিম মিয়া তার সামনে থাকা সেই গরুর গাড়ির চালক কে অনেক বার অনেক প্রশ্ন করে এতো রাতে কোথা থেকে আসলো বাসা কোথায় কিন্তু কোনো উত্তর মেলেনা সামনে থেকে। হঠাৎ রহিম মিয়া খেয়াল করে সামনে থাকা গরুর গাড়িটি মাটির পথ ছেড়ে পানির ভিতর নেমে যাচ্ছে তার সাথে সাথে রহিম মিয়ার গরুটিও অনুসরণ করছে সামনের গাড়িটিকে। রহিম মিয়ার আর বুঝতে বাকি থাকলোনা তার সাথে কি হতে যাচ্ছে, আর সামনের গাড়িটিতে থাকা সে অবয়ব গুলা মানুষ না খারাপ কোনো জিনিস। রহিম মিয়া তাড়াতাড়ি তার থলে থেকে একটা বিড়ি জ্বালাই আর তার গরুকে সোজা পথে চালনা করা চেষ্টা করে। রহিম মিয়ার একটি গুণ ছিলো ছোট থেকে সে পশুদের বসে আনতে পারতো। রহিম মিয়া তার গরুর গাড়ি সামনে সোজা পথে নিয়ে যায় এবং প্রায় তার গ্রামের পথে ঢুকে পড়ে নদীপথ পেরিয়ে। রহিম মিয়া গ্রামের পথে ঢুকে পিছনে তাকাই সেই গাড়িটি দেখার জন্য তখন তার কানে একটি শব্দ ভেষে আসে "এবারের মতো বেচে গেলি" সাথে রহিম মিয়ার চোখের সামনেই সেই গরুর গাড়িটি উধাও হয়ে যায় পানির ভিতর। এই দৃশ্য দেখে রহিম মিয়া প্রাণপণে বাসার দিকে আসে এবং বাসার উঠানে এসে জ্ঞান হারাই। সকালে উঠে দেখে সে তার ঘরের বিছানায়। বাড়ির সকলে জিজ্ঞাসা করলে কি হয়েছিলো? তখন রহিম মিয়া তার সাথে ঘটা গতরাতের সব ঘটনা বলে সবাইকে। তারপর তার এলাকার মসজিদের ইমামের কাছে নিয়ে গেলে ইমাম বলেন তার, কাল রাতে বড় ক্ষতি হতো শুধুমাত্র তার কাছে আগুন ছিলো বলে তার কোনো ক্ষতি করতে পারেনি তারা। আর সেই গাড়িতে থাকা অবয়ব গুলো ছিলো বাজে কিছু জ্বীন যারা এভাবে রাতে মানুষকে পথ ভুলিয়ে নিয়ে গিয়ে মেরে ফেলে।

এটাই ছিলো রহিম মিয়ার ঘটনা।

বিঃদ্রঃ ভূত ডট কমকে আরও সামনে এগিয়ে নিয়ে যেতে আপনার সকল ফ্রেন্ড কে ইনভাইট করুন এই গ্রুপে। #ধন্যবাদ
আপনার কাছে ঘটনা থাকলে পাঠিয়ে দিনঃ russell.bhoot.com@gmail.com এই

No comments

Powered by Blogger.